রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে নিরাপদ রাখতে সমন্বিত বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন রুট আউট’ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতের এই অভিযানে ৮, ১৪ ও ১৬ এপিবিএন এবং জেলা পুলিশের অস্ত্র ও নিরাপত্তা সরঞ্জামাদিতে সজ্জিত পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য অংশগ্রহণ করে।
প্রতিটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান পরিচালনা ও সমন্বয়ের জন্য একাধিক অ্যাডিশনাল এসপি, এএসপি ও পুলিশ পরিদর্শক নিয়োজিত ছিলেন।
সম্ভাব্য স্থানে চিরুনি অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ড, মাদক কারবারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত এমন ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যার মধ্যে হত্যা মামলার আসামি ৬ জন। মাদকসহ আটক হয় ৩ জন। অন্যান্য মামলার আসামি ছিল ৪ জন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন অপরাধের দায়ে মোবাইল কোর্টে সাজাপ্রাপ্ত হন ২৮ জন।
হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলো, ক্যাম্প-১৮ ব্লক-এল/১৮ এর মৃত আবুল হোসেনের ছেলে সৈয়দ আলম (৫৫), ব্লক- এল/১৭ এর মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে জুনায়েদ (২৫), আবু তালেবের ছেলে মছন আলী (২০), ক্যাম্প-১৯ ব্লক-সি/৭ এর মৃত মোস্তাক আহম্মদের ছেলে মোঃ ওসমান (৩৪), ক্যাম্প-১৩ ব্লক- ডি/৩ এর জাহিদ হোসাইনের ছেলে মোঃ তাহের ওরফে লালা ফুতিয়া (২৫), ব্লক-এফ/৩ এর মৃত আমির হামজার ছেলে শোয়াইব (২৫)।
মাদকসহ গ্রেফতারকৃত ৩ আসামি হলো, ক্যাম্প-১৩ ব্লক- জি/২ এর মৃত নুর আহম্মদের ছেলে দিল হোসাইন (৪৪), ব্লক- ই/৪ এর মৃত কবির আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের (৩৯) এবং ক্যাম্প-১৮ ব্লক-এইচ/৬২ এর মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে শফিউল্লাহ (৫৩)।
এসব তথ্য জানিয়েছেন ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (অপস্ এন্ড মিডিয়া) মোঃ ফারুক আহমেদ।
তিনি জানান, ক্যাম্প এলাকায় সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ২৮ অক্টোবর রাতে ৮, ১৪ এপিবিএনের উদ্যোগে, জেলা পুলিশের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও ১৬ এপিবিএনের সহযোগিতায় ক্যাম্প-১৩, ১৮, ১৯, ১৭, ২০ ও ২০এক্সটেনশন এ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়। ক্যাম্প এলাকার অভ্যন্তরে অভিযান পরিচালনার সময় যাতে কোন দুস্কৃতিকারী ক্যাম্পের বাইরে পালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য ক্যাম্পের সীমান্তে জেলা পুলিশ পর্যাপ্ত সংখ্যক অফিসার-ফোর্স মোতায়েন করে।
ক্যাম্প এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং দুষ্কৃতিকারীদের সমূলে নির্মূল করার লক্ষ্যে পরিচালিত উক্ত চিরুনি অভিযানে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এর কমান্ডিং অফিসার মোঃ আমির জাফর সার্বিক তদারকি ও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন।
অভিযানে ৮ এপিবিএন তাঁর দায়িত্বাধীন রোহিঙ্গা ক্যাম্পসমূহ থেকে সর্বমোট ৪১ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করে।
সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক আহমেদ জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দুষ্কৃতিকারীদের নির্মূলে বিশেষ ও চিরুনি অভিযান অব্যাহত থাকবে। অপরাধ দমনে ৮ এপিবিএন বদ্ধপরিকর।
পাঠকের মতামত